Biography

জাগানোস পাশা

জাগানোস পাশার জীবনকথা

জাগানোস বা জাগান পাশা একজন আলবেনিয়ান অটোমান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। যিনি সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ “বিজেতা” এর রাজত্বকালে সর্বোচ্চ সামরিক পদমর্যাদার ওজির ছিলেন । তিনি মূলত একজন খ্রিস্টান ছিলেন ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছিলেন এবং জেনিসারির পদ লাভ করেন । তিনি দ্বিতীয় মেহমেদের একজন বিশিষ্ট সামরিক কমান্ডার এবং একজন লালা -তিনি একযোগে সুলতানের উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা , গৃহশিক্ষক , কাউন্সিলর , রক্ষক হয়ে ওঠেন। কনস্টান্টিনোপলের পতনের মধ্যে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড ওজির চান্দারলি হালিল পাশাকে সরিয়ে দেন।

পাশা তুর্কি অর্থ : পাশা, অটোমান সাম্রাজ্য এবং উত্তর আফ্রিকার একজন উচ্চ পদমর্যাদার বা অফিসের লোকের উপাধি । এটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সরকারী সম্মানের শিরোনাম।

ব্যক্তিত্ব এবং চেহারা:

জাগানোসকে বলা হত লম্বা এবং বুদ্ধিমান মানুষ। তাকে তার সময়ের সবচেয়ে বিচক্ষণ অটোম্যান ক্যাপ্টেন বলা হয় এবং বলা হয় খ্রিস্টানদের শত্রু। তিনি দ্বিতীয় মেহমেদের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য ছিলেন, এমনকি যখন তিনি শুধুমাত্র একজন রাজপুত্র ছিলেন তখনও৷ জাগানোস ছিলেন একজন সৈনিক যিনি বিশ্বাস করতেন যে, অটোমান সাম্রাজ্যকে সর্বদা সম্প্রসারণ করতে হবে।

তিনি 1453 সালের কনস্টান্টিনোপলের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন । তিনি ছিলেন দ্বিতীয় মেহমেদ (মেহমেদ বিজয়ী) এর বিশিষ্ট অটোমান সামরিক কমান্ডারদের একজন এবং একজন লালা , একই সাথে সুলতানের উপদেষ্টা , পরামর্শদাতা, গৃহশিক্ষক, কাউন্সিলর এবং রক্ষাকর্তা ।

পরিবার পরিজন :

তার তিনজন স্ত্রী ছিল, যথাক্রমে :

১/:- সিত্তি নেফিসে হাতুন। দ্বিতীয় মুরাদের অধীনে আনাতোলিয়ার গভর্নর-জেনারেল তিমুরতাওলু ওরুচ পাশার কন্যা । তার গর্ভ থেকে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল। 1444 সালের আগে তিনি মারা যান বা জাগানোস পাশা তাকে তালাক দিয়েছিলেন।

২/:- ফাতেমা হাতুন। সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ এবং হুমা হাতুনের কন্যা সুলতান মেহমেদের বোন । তারা 1444 সালে বিয়ে করে এবং 1462 সালে বিবাহ বিচ্ছেদ করে। তার ঔরস থেকে দুটি পুত্র ছিল জন্মে ছিল।

৩/:আনা হাতুন । ট্রেবিজন্ডের সম্রাট ডেভিডের কন্যা। দ্বিতীয় মেহমেদ তার পিতাকে পরাজিত করার পর তার হারেমে তাকে পাওয়া যায়। জাগানসের কন্যাকে বিয়ে করার অনুমতির বিনিময়ে তাকে তার কাছে স্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন।

জাগানোস পাশার চারজন পুত্র ছিল:- ১: মেহমেদ বে – সিত্তি নেফিসে হাতুনের ছেলে ২: আলী চেলেবি – সিত্তি নেফিসে হাতুনের ছেলে ৩: হামজা বে – ফাতমা হাতুনের ছেলে ৪: আহমেদ চেলেবি – ফাতমা হাতুনের ছেলে। তিনি তার চাচাতো ভাই সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা হয়ে ওঠেন ।

তার দুটি কন্যা ছিল: ১: সেলুক হাতুন – সিত্তি নেফিসে হাতুনের কন্যা। তিনি মাহমুদ পাশা অ্যাঞ্জেলোভিককে বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেহমেদের ছেলে শাহজাদে মুস্তাফার প্রেমিকা হয়ে ওঠেন । তার স্বামীর দ্বারা তার একটি পুত্র আলী বে এবং একটি কন্যা হাতিস হাতুন ছিল। ২:হাতিস হাতুন – সিত্তি নেফিসে হাতুনের কন্যা। তিনি সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের জীবনসঙ্গীনী হয়েছিলেন। মেহমেদের মৃত্যুর পর পরবর্তিতে তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ককে বিয়ে করেন।

সামরিক অর্জন :

কনস্টান্টিনোপলের চূড়ান্ত অবরোধের সময় , জাগানোস পাশার সৈন্যরা প্রথম টাওয়ারে পৌঁছায়। উলুবাতলি হাসানই প্রথম সৈনিক যিনি টাওয়ারে পৌঁছেছিলেন। অবরোধের সময় অনেক স্যাপারকে জাগানো পাশার নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল। তিনি এ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মেহমেদ প্রায় একচেটিয়াভাবে জাগানোসের পরামর্শ গ্রহণ করেছিল। দ্বিতীয় মেহমেদ তাকে তার আনুগত্য এবং সততার জন্য সম্মানিত করেন, সাথে সুলতানের অন্য দুই ওজির হালিল পাশা এবং সারিকা পাশা, তাদের নামে রুমেলি হিসারির তিনটি বড় টাওয়ারের নামকরণ করে। দক্ষিণ দিকের টাওয়ারটির নাম জাগানোস পাশার নামে রাখা হয়েছে।

সুলতান কর্তৃক পরামর্শসভা ও জাগানোস পাশা তোজোদ্দীপ্ত কন্ঠে ভাষন:

কনস্টান্টিনোপলে চুড়ান্ত আক্রমণের আগে এ পর্যায়ে সুলতান একটি পরামর্শসভার আয়োজন করেন। পরামর্শকদের মধ্যে সুলতানের উপদেষ্টা, সেনাপতি এবং আলিম ও শায়খগণ ছিলেন। সুলতান উপস্থিত সকলকে দ্বিধাহীনচিত্তে প্রাণখুলে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করার আহ্বান জানান। সুলতানের বক্তব্যের পর কতিপয় লোক বলেন,এ অবস্থায় আমাদের জন্য অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া দরকার।

এ ক্ষেত্রে উজির হালিল পাশা ছিলেন সবার অগ্রগামী। তিনি বলেন,”মহামান্য সুলতান”আমরা যদি শহর জয় করেও নিই; তথাপি আমাদেরকে শহরে রক্তপাত থেকে হাত গুটিয়ে রাখা দরকার মনে করি। অন্যথায় আমাদের খ্রিষ্টীয় ইউরোপের ক্ষোভের শিকার হতে হবে।তিনি হতাশাজনক আরও কিছু কথা বলেন। আসলে হালিল পাশা পর্দার আড়ালে বাইজেন্টাইনদের হয়ে কাজ করছিলেন। তিনি তাদের রক্ষার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

অপরদিকে বিজয়ের পূর্বপর্যন্ত হামলা অব্যাহত রাখার পক্ষে অনেকে মত দেন। তারা বলেন,আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে শত্রুদের খাটো করে দেখাতে হবে। তারা এ কথাও বলেন,তড়িৎ বিজয়ের লক্ষ্যে সৈন্যদের অন্তরে আবেগ-উত্তেজনা জাগিয়ে তোলা দরকার। এ মুহূর্তে এমন কিছু করতে যাওয়া উচিত হবে না, যার ফলে সেনাবাহিনী হতাশ হয়, তাঁদের আগ্রহে ভাটা পড়ে।

এ কথাগুলো ছিল আলবেনীয় বংশোদ্ভূত জাগানোস পাশা নামক খ্যাতিমান জনৈক সেনাপতির। জাগানোস পাশা প্রথমজীবনে ছিলেন একজন খ্রিষ্টান। পরে তিনি মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সুলতানকে ইউরোপীয়দের বেশকিছু দুর্বল দিক সম্পর্কে অবহিত করেন এবং জোর দিয়ে বলেন,কোনো অবস্থায়ই অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য সমাচীন হবে না।

ইতিহাসের গ্রন্থাবলিতে জাগানোস পাশার অবস্থান এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে, সুলতান জাগানোস পাশাকে তাঁর মত ব্যক্ত করার আহ্বান জানালে তিনি এমনভাবে বসে যান যে, এইমাত্র উঠে পড়বেন। এরপর তুর্কিভাষায় ঈষৎ চিৎকারের মতো করে বলতে থাকেন, ‘কখনো নয়, কখনো নয়! হে মহান সুলতান, এটা কোনো অবস্থায়ই কার্যকর হতে পারে না। আমি হালিল পাশার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা তো আল্লাহর রাস্তায় প্রাণ বিলিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছি, ফিরে যাওয়ার জন্য আসিনি।

জাগানোস পাশার তোতলানো কণ্ঠের আবেগদীপ্ত কথাগুলো উপস্থিত লোকদের অন্তরে এক অকল্পনীয় প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষণের জন্য পুরো মজলিস সম্পূর্ণরূপে নীরব হয়ে পড়ে। সেই নীরবতা ভেঙে জাগানোস পাশা পুনরায় তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠে বলে যেতে থাকেন,সম্মানিত উপস্থিতি হালিল পাশা আপনাদের চেতনা এবং আত্মমর্যাদার আগুন নিভিয়ে ফেলতে চান।

তিনি বীরত্ব ও বাহাদুরির গলা টিপে ধরতে চান, কিন্তু সর্বাবস্থায় তাকে মাটিতে নাক ঘষতে হবে। তার ভাগ্যে পরাজয় ছাড়া কিছুই থাকবে না। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট গ্রিস থেকে বের হয়ে হিন্দুস্থান পর্যন্ত মার্চ করেছিলেন। এশিয়ার বিশাল একটা অংশ নিজের দখলে নিয়েছিলেন। যে বাহিনীর মাধ্যমে তিনি এই অসাধ্য সাধন করেছিলেন, সে বাহিনী তো আমাদের বাহিনী থেকে বড় ছিল না। এরচেয়ে ছোট বাহিনী নিয়ে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট যদি প্রায় অর্ধবিশ্ব পদানত করতে পারেন, তাহলে আমরা কেন ইট আর পাথরের এই দেয়াল ভেঙে ফেলতে পারব না?

হালিল পাশা ইউরোপীয়দের হামলার ভয় দেখাচ্ছেন। বলছেন, তারা আমাদের থেকে কনস্টান্টিনোপল
পতনের প্রতিশোধ নেবে, কিন্তু তারা কারা? তারা কি সেই ল্যাটিন রাষ্ট্র নয় যারা একে অন্যের পেছনে লেগে দুর্বল হয়ে আছে? ওরা কি সেই ভূমধ্য-উপসাগরীয় রাষ্ট্রপুঞ্জ নয়, চুরি-ডাকাতি ছাড়া যাদের কোনো কর্ম নেই? তাদের সাহস থাকলে তো এখন হাত গুটিয়ে বসে থাকার কথা ছিল না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই তারা বাইজেন্টাইনদের সাহায্যে এগিয়ে আসত।তাদের সৈন্যরা আমাদের সঙ্গে শক্তিপরীক্ষায় অবতীর্ণ হতো। তাদের যুদ্ধজাহাজগুলো সাগরের বুক চিরে আমাদের নৌবহরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। মেনে নিলাম কনস্টান্টিনোপল পতনের শোধ তুলতে তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে; কিন্তু আমরা কী তখন বসে বসে আঙুল চুষব? আমাদের বাহু কি তখন অবশ হয়ে যাবে? আমাদের বাহিনীর কি এই শক্তি নেই যে, ইউরোপীয়দের সঙ্গে মোকাবিলা করে ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা করবে?

রাষ্ট্রের হে মহান কর্ণধার, আপনি আমাকে মত ব্যক্ত করতে বলেছেন। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের অন্তরগুলো পাথর বানিয়ে নিতে হবে। আমাদের জন্য কোনো আলসেমি কিংবা দুর্বলতা না দেখিয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া দরকার।

যে কাজ আমরা শুরু করেছি, এবার একে একটা পরিণতিতে পৌঁছানো প্রয়োজন। আমাদের নতুন আঙ্গিকে আক্রমণ শাণিয়ে তুলতে হবে। প্রাচীরের গায়ে নতুন নতুন ফাটল সৃষ্টি করতে হবে। পূর্ণ বীরত্বের সঙ্গে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমার পক্ষে এ ছাড়া অন্য কোনো মত পেশ করা সম্ভব নয়।

জাগানোস পাশার কথা শুনে সুলতানের চেহারায় সহস্র সূর্যের আলো খেলে যায়। এরপর তিনি সেনাপতি তুরখানের মনোযোগ আকর্ষণ করে তাঁর অভিমত জানতে চান। তুরখান তৎক্ষণাৎ বলে ওঠেন, ‘মহামান্য সুলতান, ভাই জাগানোস পাশা যা বলেছেন তা আমার হৃদয়ের অভিব্যক্তি। আমি সর্বতোভাবে তাঁকে সমর্থন করছি। তাঁর কথার বাইরে বলার মতো কিছুই আমার নেই।

এরপর সুলতান তাঁর মুর্শিদ ও উসতাদ শায়খ আক শামসুদ্দিন ও আল্লামা কোরানির অভিমত জানতে চান। সুলতান ছিলেন তাঁদের ওপর পূর্ণ আস্থাবান। তাঁদের অভিমত তিনি মূল্যায়ন করতেন। তাঁরাও সেনাপতি জাগানোস পাশার অভিমতের সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, ‘সুলতান, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে আক্রমণ অব্যাহত রাখুন। ইনশাআল্লাহ, আপনার হাতেই কনস্টান্টিনোপলের পতন হবে।

শায়খদ্বয়ের কথা শুনে সবার অন্তরে উত্তেজনার জোয়ার বয়ে যেতে থাকে। সুলতানও তাঁদের কথা শুনে প্রশান্ত হয়ে যান। তিনি তাঁদের কাছে দুআপ্রার্থী হন। এ সময় অবচেতনভাবে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, ‘আমার বাপদাদাদের মধ্যে শক্তি-সামর্থ্যে কে আমার মতো ছিলেন?

যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আলিমগণের অভিমত সুলতানকে নিশ্চিন্ত ও প্রফুল্ল করে তোলে। তাঁদের অভিমত ছিল সুলতানের অভিমতের অনুরূপ। কারণ, সুলতান নিজেও ছিলেন আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এরপর সুলতানের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে পরামর্শসভার সমাপ্তি ঘটে যে, রাত ঘনিয়ে এসেছে, আপনারা যার যার শিবিরে চলে যান। ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল আমরা শহর-ফটকে আক্রমণ শাণিয়ে তুলব এবং শহরে প্রবেশের উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে থাকব। আমাদের সেনাবাহিনীর উচিত, তাঁরা যেন আগামীকালের হামলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

সুলতানের ভরসার জায়গা :

এই লালা, ফাতিহ সুলতান মেহমেদ খান এর সামনে ঢালের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন, সাহায্য ও শক্তি যুগিয়েছিলেন জাগানোস পাশা ও সাহাবেদ্দিন পাশা। আর পিছনে খুঁটির মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং মনোবল ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিলেন শিক্ষক আকসামছেদ্দিন ও সৎমা মারা হাতুন।এই চারজন সুলতানের বিপদে আপদে সর্বদা পাশে ছিলেন।

জাগানোশ চরিত্রে অভিনেতাগন ও সিরিজের বিবরণ :

১: নাম:-নেসেত বার্কুরেন।
সিরিজ :- তুর্কি চলচ্চিত্র ইস্তানবুলুন ফেথি (1951) । জাগানোস পাশার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ।

৩: নাম :-সেদাত মের্ট।
সিরিজ:- মেহমেদ ফাতিহলারি। জাগানোস পাশার চরিত্র চিত্রিত হয়েছে ।

২: উশান চাকির
সিরিজ :– তুর্কি টিভি সিরিজ ডকুমেন্টারি রাইজ অফ এম্পায়ার্স: অটোমান। তাতে জাগানোস পাশার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ।

পরলোকগমন : জাগানোস পাশা মৃত্যুবরণ করেন 1469 সালে। মৃত্যুর সময় 43 বছর বয়স হয়েছিলো।

সাজিদুর রহমান

আরো কিছু লেখা পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button